কানাইঘাটে অস্ত্রসহ আটক ৪ ডাকাত

কানাইঘাট প্রতিনিধি:কানাইঘাটে নৌকা চোর সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্য। এ সময় চোরাই যাওয়া নৌকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার রাত ৮টায় কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া চা-বাগানের রয়্যেলিটি ঘাটে। জানা যায়, প্রায় দু’মাস পূর্বে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির সাউদগ্রামের জনৈক বুরহান উদ্দিনের লোভাছড়া পাথর কোয়ারী এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা চুরি হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে নৌকাটি পাওয়া যায় নি। দীর্ঘ দু’মাস পর চুরি হওয়া ঐ নৌকাটি কানাইঘাট খেয়াঘাটে ভিড়লে স্থানীয় মাঝিদের সন্দেহ হয়। তারা নৌকার প্রকৃত মালিক বুরহানকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করে। এরপর থেকে স্থানীয় মাঝিরা নৌকাটি ফলো করতে থাকে। একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে ৭ জন অপরিচিত লোক ঐ নৌকাটি নিয়ে লোভাছড়া রয়্যেলিটি ঘাটে পৌঁছে। সেখানে স্থানীয় জনতা তাদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানতে চাইলে সাথে থাকা অপর ৫ জন কৌশলে সটকে পড়ে এবং ২ জনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাদের আটক করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদে, আটককৃত দু’জন স্বীকার করে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এসেছে। তখন স্থানীয় লোকজন নৌকাটি তল্লাশী করে নৌকা থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি দেশীয় তৈরি পাইপগান, কয়েক রাউন্ড গুলি, মুখোশসহ বিপুল পরিমান অস্ত্র দেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল স্থলে পৌঁছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরজ্ঞামাদি উদ্ধার করেন এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, লোভা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী আসামপাড়া গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়া আরো ২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মিরাছ আলীর পুত্র মরতুজ আলী (৩৫), সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার পারকুল গ্রামের আব্দুস শহিদের পুত্র সালেহ আহমদ (৩০), এসএমপি জালালাবাদ থানার হেংলাকান্দি নওয়াগাঁও গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র রিয়াদ (৩৫), একই থানার নাওয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র মো. আমিন (৩৫)। স্থানীয় অনেকে জানিয়েছেন, নৌকা চোর সন্দেহে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ না করলে ঐ রাতে লোভাছড়া এলাকায় দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হত। কানাইঘাট ওসি আব্দুল আহাদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পলাতক ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।