হবিগঞ্জ পৌরসভার জলাবদ্ধ নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: জনসাধারণের দীর্ঘ দুর্ভোগের পর অবশেষে শুরু হয়েছে হবিগঞ্জ শহরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম। বৃষ্টির মৌসুমে নিত্যদিনের সঙ্গী জলাবদ্ধতা থেকে পৌর নাগরিকদের মুক্তি দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রশাসন এবং পৌর কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে শহরের ঘাটিয়া বাজার, কালিগাছ তলা ও পইল রোডে অন্তত ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। যার অধিকাংশই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন রুবেলসহ পৌরসভার কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতকাল সোমবার (১০ জুন) বিকেলে পৌরসভা ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কয়েকটি টিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টির স্থান চিহ্নিত করতে মাঠে নামে। ৯টি ওয়ার্ডে সনাক্ত করা হয় প্রায় ৪০টি স্থান। এগুলোতে রয়েছে প্রভাবশালীদের তৈরী অবৈধ স্থাপনা এবং পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা। হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানা জানান, সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর এবং পৌরসভার কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধানে আমরা কাজ করেছি। স্থানীয় জনগণও তাদের সমস্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। আমরা তিনটি টিম চিহ্নিত স্থানগুলো সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পুরাতন খোয়াই নদী ও রেলের জায়গা দখল, ড্রেনের উপর স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, মাছ ধরার স্বার্থে ড্রেন এবং নদীর প্রবাহ বন্ধ করে রেখেছেন প্রভাবশালীরা। এতে করে বৃষ্টি হলেই পুরো শহরে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কিছু সময় ভারী বর্ষণ হলেই হাটু পানি জমে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড, সার্কিট হাউজ, জেলা প্রশাসকের কর্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা-বাড়িতে। এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন শহরবাসী। অবশেষে ঈদুল ফিতর পরবর্তী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুণর্মিলনীতে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান, হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। এ সময় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা উপস্থিত ছিলেন।