নবীগঞ্জে ট্রাকসহ ২০ টন সরকারি চাল আটক

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নে রাইস মিলে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকসহ সরকারি চাল আটক করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে চাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় চাল আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৭ জুলাই) বিকেলে নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের নাদামপুর গ্রামের মসজিদের সামনে চালের বস্তায় সরকারি সিল দেখে ট্রাকসহ চাল আটক করে স্থানীয় লোকজন। সূত্রে জানা যায়, ৮ জুলাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোয়ার্টার মাস্টার) হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক স্মারকপত্রে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (রেশন স্টোর) লজিস্টিকস এন্ড প্রকিউরমেন্ট বিভাগকে জুলাই মাসের রেশনের চাল থেকে জহুরা কামাল ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ কেজি চাল প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশের প্রেক্ষিতে জহুরা কামাল ট্রেডিংকে চাল বুঝিয়ে দেয় রেশন স্টোর বিভাগ। রেশন স্টোর থেকে জহুরা কামাল ট্রেডিং কর্তৃক বিক্রয়ের কোনো কাগজপত্র তাৎক্ষণিক দেখাতে পারেনি মেসার্স এম এম এন্টারপ্রাইজ ও নবীগঞ্জ শ্রীভাষীনি অটো রাইস মিল। পুলিশের রেশনের চালে সরকারি সিলকৃত বস্তা পাল্টে চাল বিক্রির নীতিমালা থাকলেও সেই নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে (২৫-জুলাই) মেসার্স এম এম এন্টারপ্রাইজ থেকে ২০ টন চাল ক্রয় করে নবীগঞ্জের বাউসা ইউনিয়নের রিফাতপুর গ্রামের শ্রীভাষিণী অটো রাইস মিল। চাল রিফাতপুরে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে ভুল রাস্তায় রুদ্রগ্রাম সড়ক হয়ে নাদামপুর এলাকায় চাল পৌঁছামাত্রই স্থানীয় লোকজন চালের বস্তার গায়ে সরকারি সিল দেখে সন্দেহ করে। এ সময় তারা চাল আটক করে প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গৌরাপদ দে, নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলাম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় বস্তায় সরকারি সিল থাকার নির্দিষ্ট কারণ ও সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় চাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান বলেন, চালের বস্তায় সরকারি সিল থাকায় বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। প্রাথমিকভাবে আমরা চাল আটক করেছি। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে ক্রয়কৃত চালের বস্তায় সরকারি সিল থাকার কোনো নিয়ম নেই। কেন সরকারি সিলকৃত বস্তা ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কারণ দর্শাতে না পারলে ও ক্রয়-বিক্রয়ের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।