‘স্বাস্থ্য’ ঝুঁকিতে মৌলভীবাজারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স!

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। গত দুই মাস যাবত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। তবে চিকিৎসক, নার্স, যন্ত্রপাতি সংকটে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা। ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও গাইনী, মেডিসিনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে কোন ডাক্তার। জানা যায়, প্রায় আড়াই লক্ষাধিক লোকের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (এইচইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ৮ কোটি ৩২ লক্ষ ৬৭০১ টাকা ব্যয়ে ৩১ থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করা হয়। ২০১৮ সনের ১০ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় বিশিষ্ট ভবনের উদ্বোধন করেন। ৫০ শয্যা হাসপাতালের ২৪ জন চিকিৎসকের স্থলে টিএইচও সহ আছেন মাত্র চারজন এবং অন্যান্য সাবসেন্টার আরও ৩ জন চিকিৎসকসহ ৭ জনকে দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। নার্সদের মধ্যে ১৫ জন থাকার কথা থাকলেও আছেন ১২ জন। ৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিসিন, গাইনীসহ গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকের ২০টি পদই শুন্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, যন্ত্রপাতি না থাকায় দরিদ্র লোকজন পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, সম্প্রতি আবহাওয়ার তারতম্য জনিত কারণে গত দু’মাস ধরে রোগীদের ভিড় লেগেই আছে। হাসপাতালের ৩১টি বেডে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় প্রতিদিন নিচে জায়গা নিতে হচ্ছে এসব রোগীদের। তবে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে শিশু রোগীদের সংখ্যাই বেশি। হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট চিকিৎসকদের চেম্বার সমুহেও রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। হাসপাতালে ভর্তিকৃত এসব রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা শ্রুশুষা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্সরা। গত শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালে নতুন পুরাতন ৪৫ জন রোগী ভর্তি হন। ভর্তিকৃত ১১ জন রোগীর মধ্যে ৮ জন নিউমোনিয়া ও ২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসকরা জানান, ডাক্তাররা সবসময়েই আন্তরিকভাবে কাজ করে গেলেও সেটি প্রকাশ পায় নাআবহাওয়ার তারতম্যজনিত কারণে সম্প্রতি নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে ৫০টি বেড নেই। তাছাড়া সব ধরণের সেবা প্রদানে আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আমরা কীট সংগ্রহ করেছি এবং এ পর্যন্ত ৪০ জনের মতো রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছে।