শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট হারালো বার্সেলোনা

যেই না ধাক্কা সামলে সামনে এগোতে চায়, তখনই যেনো কোনো শক্তি টেনে ধরে বার্সেলোনাকে। ৪ঠা ডিসেম্বর, ঘরের মাঠে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে হারের পর ওসাসুনার কাছে পয়েন্ট হারায় ব্লাউগ্রানারা। এলচেকে হারিয়ে জয়ে ফিরলেও পরের ম্যাচে কাতালানদের রুখে দেয় সেভিয়া। মায়োর্কার বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে ব্যর্থতার বৃত্ত ভেদের সম্ভাবনা তৈরি হলেও ফের জাভি হার্নান্দেজের দলকে রুখে দেয় গ্রানাদা। শনিবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে বার্সেলোনার পয়েন্টে ভাগ বসিয়েছে দলটি, ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। গ্রানাদার মাঠে প্রথমার্ধে সাফল্য না এলেও বিরতি থেকে ফেরার খানিক পর লুক ডি ইয়ংয়ের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তবে গাভির লালকার্ডে ব্যাকফুটে চলে যায় কাতালানরা। আর অন্তিম মুহূর্তের গোলে নিশ্চিত হার এড়ায় গ্রানাদা। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বার্সেলোনাকে টেক্কা দেয় গ্রানাদা। মাত্র ৩৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৪টি শট নেয় স্বাগতিক দল। যার লক্ষ্যে ছিল ৪টি। অপরদিকে ৬৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৩টি শটের ১টি লক্ষ্যে রাখে বার্সেলোনা। ম্যাচের শুরুতেই দারুণ নৈপুণ্যে বল জালে পাঠান বার্সার লুক ডি ইয়ং। তবে তাকে পাস দেয়ার আগে গাভি অফসাইডে থাকায় ভিএআরে মেলেনি গোল। ২৬তম মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করে গ্রানাদা। তবে ডারউইন মাচিসের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগান। শুরুতেই অফসাইডের খড়গে গোল না পাওয়া লুক ডি ইয়ং আক্ষেপ ঘোচান ৫৭তম মিনিটে। এবার ডান দিক থেকে দানি আলভেসের ডি-বক্সে বাড়ানো দারুণ ক্রসে হেডেই দলকে এগিয়ে নেন ডাচ ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণ করে গ্রানাদা, যদিও তাতে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেনি তারা। এর চার মিনিট পরই আলেক্স কোলাদোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন গাভি। ১০ জনের দলকে পেয়ে সুযোগ কাজে লাগায় গ্রানাদা। ৮৯তম মিনিটে সমতায় ফেরে তারা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সার্জি বুসকেটসের পায়ে লেগে চলে যায় ফাঁকায় পুয়ের্তাসের পায়ে। জোরালো উঁচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডার। ২০ ম্যাচে আটটি করে জয় ও ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে বার্সেলোনা। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে গ্রানাদা। ২১ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।