মন্দিরার স্বপ্নপূরণ

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় সরকারি অনুদানের ছবি ‘কাজল রেখা’র মাধ্যমে বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে এই নবাগতাকে। ‘কাজল রেখা’য় যুক্ত হওয়া স্বপ্নের মতোই লাগছে মন্দিরার কাছে। তিনি মানবজমিনকে বলেন, একদম স্বপ্নের মতো একটা ব্যাপার। খুবই উচ্ছ্বসিত। ছোটবেলা থেকে যখন আমি ‘মনপুরা’ দেখেছি তখন থেকেই সিনেমাটির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। সঙ্গে আমাদের পরিচালক সাহেবেরও। সিনেমাটি দেখার পর আমার ও মায়ের স্বপ্ন ছিল এ রকম কোনো প্রজেক্টে কাজ করার। মিডিয়াতে কাজ করছি অনেকদিন হলো। সিনেমা করিনি। কারণ আমি চেয়েছি আমার স্বপ্নের মতো গল্প ও কাজে সুযোগ পেলেই কেবল সেটা করবো। স্বপ্ন যে এতো তাড়াতাড়ি পূরণ হয়ে যাবে এটা কল্পনা করিনি। দেড় বছর ধরে ‘কাজলরেখা’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানালেন মন্দিরা। তিনি বলেন, আমি গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাইকে অনেক ভয় পাই। জানি না কেন? এতো গুণী একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি কেমন হবে বা আমি কতটুকু পারবো। যখন রিহার্সেল করতাম তখন জানতাম না কাজলরেখার চরিত্রে কাজ করবো। কিন্তু সেলিম ভাই আমাকে বই, স্ক্রিপ্ট পড়ার জন্য তাগিদ দিতেন। যখন আমি জানতে পারলাম কাজলরেখার চরিত্রে কাজ করছি আমি একদম চুপ হয়ে গেছি। আমি বারবার বলেছি সেলিম ভাই আমি কী এটা করতে পারবো? আমাকে দিয়ে কী এটা হবে? সেলিম ভাই বলেছেন, তোকে দিয়েই হবে। সেলিম ভাই আমাকে দেড় বছর ধরে একটু একটু করে শিখিয়েছেন। এটা অনেক বছর আগের একটা কাহিনী। তখন মানুষ জনের লাইফস্টাইল অন্যরকম ছিল। এজন্য অনেক কিছু জানতে হয়েছে, বুঝতে হয়েছে। তারপর চরিত্রটাকে ধারণ করতে পেরেছি। এখনো আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ২০১২ সালে চ্যানেল আইয়ের রিয়ালিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’তে মন্দিরা হয়েছিলেন দ্বিতীয় রানারআপ। এরপর মডেলিং করেছেন, অভিনয় করেছেন নাটক-টেলিফিল্মেও।