কঙ্গনার বেফাঁস মন্তব্যে তোলপাড়

বলিউডে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নিয়ে বরাবরই সরব বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। স্বজনপ্রীতি নিয়ে নিজের অপছন্দের কথা একাধিকবার প্রকাশ করেছেন এই বলি কুইন। শুধু তাই নয়, বলিউড ছবিতে তারকা সন্তানদের সুযোগ দেয়ার ফলে কীভাবে ‘বহিরাগতদের’ বঞ্চিত করে সে সম্পর্কেও সোচ্চার হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তারকা সন্তানদের নিয়ে আবারো বেফাঁস মন্তব্য করলেন কঙ্গনা। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত একাধিক দক্ষিণী সিনেমা বলিউডের হিন্দি ছবির বক্স অফিস কালেকশনকে ছাপিয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণী এই ছবিগুলোর হিন্দি সংস্করণগুলোই গত দুই বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউডের বেশির ভাগ সিনেমাকে হারিয়েছে। কিন্তু বলিউডের কেন এমন হাল? সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে তারকা সন্তানদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কঙ্গনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, দর্শকের সঙ্গে তাদের (দক্ষিণী) ইন্ডাস্ট্রির যে যোগাযোগ তা বেশ শক্তিশালী। আমি ভক্তদের বলবো না, এটি তার থেকেও অনেক বেশি। আমাদের ক্ষেত্রে যেটা হয়, তাদের (তারকাদের) বাচ্চারা পড়াশোনা শেষ করতে বিদেশে যায়।তারা ইংরেজিতে কথা বলে, শুধু হলিউডের ছবি দেখে। তারা শুধু ছুরি-কাঁটা দিয়ে খায় এবং কথা বলার ধরনও ভিন্ন হয়। সুতরাং, তারা কীভাবে সংযোগ করবে? দেখতেও কেমন অদ্ভূত, অনেকটা ডিম সেদ্ধর মতো দেখতে লাগে। তাদের সম্পূর্ণ চেহারা পরিবর্তিত হয়েছে, তাই মানুষ সংযোগ করতে পারে না। আমি কাউকে ট্রোল করতে চাই না। অভিনেত্রী উদাহরণ হিসেবে বলেন, যে গেল বছর মুক্তিপ্রাপ্ত আল্লু অর্জুনের ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ এ আল্লু অর্জুনের চরিত্র পুষ্পার উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেখো পুষ্পাকে কেমন আমাদের পরিচিত একজনের মতো লাগছে। প্রতিটি শ্রমিক তার সঙ্গে নিজের সংযোগ করতে পারবেন। বলুন তো আমাদের নায়কদের মধ্যে কাকে আজকের যুগে শ্রমিকের মতো দেখা যেতে পারে? ওরা করতে পারেন না। সুতরাং, তাদের সংস্কৃতি (দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের) এবং তাদের গ্রাউন্ডেড প্রকৃতি তাদের মূল্য পরিশোধ করছে। আশা করছি তারা পশ্চিম থেকে যেন অনুপ্রেরণা নিতে শুরু না করে। নিজেদের দেশের মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।