পর্তুগালে রাস্তা ধোয়া, গাছে পানি দেওয়া বন্ধ

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশের মতো নজিরবিহীন খরায় পুড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। এ দৈব-দুর্বিপাকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির ৪৩টি পৌরসভায় বাড়ানো হয়েছে পানিপাশাপাশি সরকারি নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা ধোয়া ও গাছে পানি দেওয়ার মতো দৈনন্দিন অপরিহার্য কাজগুলো। বছরের পর ধরে দীর্ঘস্থায়ী খরার থাবায় ক্ষত-বিক্ষত পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইরানও।

নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিকরা গত কয়েক দিন ধরে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে দেশটির বিভিন্ন রাজপথে। শুক্রবারও পশ্চিম ইরানের হামদান শহরে তেহরান সরকারের খরা মোকাবিলায় অক্ষমতার প্রতিবাদ করেছে শত শত বিক্ষোভকারী।

রয়টার্স, আরব নিউজ। পর্তুগালের জাতীয় আবহাওয়া ইনস্টিটিউট (আইপিএমএ) জানিয়েছে, কয়েক মাস ধরে সারা দেশেই চলছে তীব্র খরার দাপট। পর্তুগিজ পরিবেশমন্ত্রী দুয়ার্তে কর্ডেইরো বুধবার বলেছেন, মূল ভূখণ্ডের ৬১টি বাঁধের মধ্যে ১০টি

এসব বাঁধে পানির পরিমাণ ধারণক্ষমতার ২০ শতাংশ নিচে নেমে গেছে। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া এসব বাঁধ থেকে পর্তুগালের উত্তর ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ৪০টি এবং পর্যটননির্ভর আলগারভের তিনটি পৌরসভায় পানি সরবরাহ করা হয়।

কর্ডেইরো বলেছেন, যদিও সারা দেশের জলাধারে দুই বছরের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পানি রয়েছে, তবে সংকটজনক অবস্থায় থাকা ১০টিতে এক বছরের পানিও নেই। পর্তুগালে জনগণের কাছে পানি পৌঁছানোর দায়িত্ব ২৭৮ পৌরসভার। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পানির ব্যবহারে লাগাম টানতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে অবশ্যই সাময়িকভাবে পানির অনাবশ্যক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, যেমন- রাস্তা ধোয়া, পার্ক বা বাগানের গাছে, ফোয়ারা ও সুইমিং পুলে পানি দেওয়া ইত্যাদি। কর্ডেইরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সুপারিশের চেয়ে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আইনি সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও আপাতত এর প্রয়োজন হচ্ছে না। শুক্রবার পশ্চিম ইরানের শহর হামাদানে অবস্থিত গভর্নরের কার্যালয়ের সামনে খরা মোকাবিলায় সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী। হাতে খালি পানির বোতল ধরে শাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে শহরে জরুরি ভিত্তিতে পানি সরবরাহের দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা।

উল্লেখ্য, হামদানের অংশবিশেষ টানা আট দিন ধরে পানি সংকটের সম্মুখীন। যে কারণে, গভর্নর এবং ‘অযোগ্য’ কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা।র অবস্থা সংকটজনক।