সিলেটের বাজারে অসহায় ক্রেতা

দ্রব্যের দাম বেড়েছে। পোল্ট্রিতে কয়েক দফা বেড়েছে দাম। এ ছাড়া গরুর মাংস ও মাছের দাম বেড়েছে। তবে, স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। রমজানের আগে চালের দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, আমদানিনির্ভর পণ্যে ডলার সংকটের কারণে দাম বেশি পড়ছে বলে দাবি করেছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতারা। বিশেষ করে মাংসের বাজারে দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। সিলেটের বাজারের পোল্ট্রি মোরগ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪০-২৪৫ টাকা দরে। সিলেটের পাইকারি আড়ত লালবাজারে গতকাল ঘুরে দেখা গেছে- বাজারের সব দোকানে পোলভাই ভাই পোল্ট্রি ফার্মসহ কয়েকটি দোকানে রয়েছে পোল্ট্রি বা ব্রয়লার মুরগি। এসব দোকানে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে পোল্ট্রি মরগি। ক্রেতা হাজী ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, মুরগির বাজার গত এক মাস ধরেই অস্থির। একটু একটু করে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এটা সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এজন্য রমজানের আগে সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর কথা স্বীকার করেছেন লালবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী। তবে তারা সিন্ডিকেট করছেন না বলে দাবি করেন। পোল্ট্রি মুরগি বাজারে সরবরবাহ করে যারা তারাই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানান। তারা কেজি প্রতি ২-৩ টাকা লাভে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন- রমজানের আগে আরও দাম বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার থেকে মনিটরিং প্রয়োজন। এদিকে, সিলেটে শুধু পোল্ট্রি নয়, গরুর মাংসেরও দাম বেড়েছে। নগরের কাজিটুলা, শিবগঞ্জসহ মাংস বিক্রির কসাইয়ের দোকানে খবর নিয়ে জানা গেছে, ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাড় ছাড়া গরুর মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা দরে। নগরের জেলরোড এলাকার বাসিন্দা সম্রাট হোসেন জানিয়েছেন, গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। 

কেউ বাজার মনিটরিং করছেন না। এ কারণে যে যার মতো করে বাজারে মাংস বেশি দামে বিক্রি করছে। তিনি জানান, মাংসের দাম বেশি হওয়ার কারণে ডিমের দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পোল্ট্রি ডিম পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে ৪১ টাকা ও ৪২ টাকা দরে। গতকাল দুপুরে লালবাজার, কাজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে- আমদানি করা রুই, কাতলা, গ্রাসকাপ মাছের দাম আগের চেয়ে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বার্মা ও ভারত থেকে এলসি’র মাধ্যমে মাছ নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি করা মাছের দাম বেড়েছে। তবে, স্থিতিশীল রয়েছে ইলিশ, দেশি রুইয়ের দাম। নগরের কাজির বাজার মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, দেশি মাছের দাম কম রয়েছে। এখনো কিছু কিছু মাছ খাল বিল হাওর থেকে আসছে। এ কারণে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। তবে- আমদানি করা মাছ ক্রয় করতে হচ্ছে বেশি দামে। এ কারণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি। ধীরে ধীরে দাম বাড়ছে সবজির বাজারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪-৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে সবজির দাম। দেশি শিম, বেগুন, মুলা, ফুলকপিসহ কয়েক জাতের সবজির দাম বেড়েছে্ট্রি নেই।