নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে ৬ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ : দুর্ভোগে যাত্রীরা

বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়কে ৬ দিন বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে অন্যান্য পরিবহন যাত্রী সাধারণের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এতে যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল নবীগঞ্জ সড়কের উমেদনগর ষ্ট্যান্ডে যাত্রী উঠানামা নিয়ে এক বাস শ্রমিককে মারধর করে সিএনজি শ্রমিকরা। এর জের ধরে নবীগঞ্জ ষ্ট্যান্ডে এক সিএনজি শ্রমিককে মারধর করে বাস শ্রমিকরা। বিষয়টি মিমাংসার লক্ষ্যে উভয় পক্ষের নেতা নিয়ে নবীগঞ্জ থানায় এক বৈঠক বসেন নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ। এতে উভয় পক্ষের বিরোধ মিমাংসা করা হয়। এরপর থেকে সিএনজি চলাচল করলেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সুত্র মতে, ৭ এপ্রিল মারামারির ঘটনার পর হবিগঞ্জ মটর মালিক সমিতির নেতাদের সাথে কোন যোগাযোগ না করেই শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে মালিক পক্ষের মাঝে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। অপর দিকে শ্রমিককে মারধরের পর মটর মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের কোন খোজখবর নেন নি। এ জন্য শ্রমিকদের মাঝেও চাপা ক্ষোভ রয়েছে। এ অবস্থায় দু’পক্ষই চাপা ক্ষোভ নিয়ে বসে থাকায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যাত্রী উঠানামা নিয়ে বাস শ্রমিকদের সিএনজি শ্রমিকদের মারামারির ঘটনায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নবীগঞ্জ থানার ওসির হস্তক্ষেপে মিমাংসা হয়। এরপরও সিএনজি শ্রমিকরা হুমকি ধামকি দেয়ায় বাস শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফলে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

জেলা পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সজিব আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উমেদনগর প্রান্তে জানমালের নিরাপত্তা না থাকায় শ্রমিকরা গাড়ি চালাচ্ছে না। তিনি বলেন, গত ৭ এপ্রিল ৮/১০ জন সিএনজি মালিক শ্রমিক এক বাস চালককে মারধর করে। শুনেছি পরবর্তীতে নবীগঞ্জ থানা ওসি সাহেব বিষয়টি মিমাংসা করেছেন। তবে কিভাবে মিমাংসা করেছেন তা আমাদের জানা নেই। তিনি বলেন, অবৈধ গাড়ির কারণে বৈধ গাড়ি প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছে। বাস চলাচল বন্ধের জন্য এটাও একটি কারণ।

নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সিএসজি ও বাস শ্রমিকদের বিরোধের বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিকভাবে উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে নবীগঞ্জ থানায় বৈঠক করেছি। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষে কথা শুনে তাদের মধ্যকার বিরোধ মিমাংসা করে দিয়েছি। এর পর থেকে সিএনজি চলাচল করলেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, নবীগঞ্জের বাস শ্রমিকদের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। দু’একদিনের মাঝেই বাস চলাচল শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।