হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রোববার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টানা এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাটেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপি নেতা জি কে গাফফার, জি কে মাওলা, শফিকুর রহমান সেতু, গোলাম মাহবুবু, ইমন আহমেদ, গুলজার খান, যুবলীগ নেতা আলা উদ্দিন, উজ্জল মিয়া, সাব্বির আহমেদ রনি, সাদিকুর রহমান মকুল, শেখ সেবুল আহমেদ, বাবুল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা রকিব, সাদ্দাম হোসেন, কৃষক লীগ নেতা হারুন মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার, ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারের নাম জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, বিকেলে শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভাঙচুর ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।একপর্যায়ে দুই দলের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় দলের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী জানান, শনিবার বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট ও জনসাধারণের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করি।মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় পৌঁছালে ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

এদিকে, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব জি কে গউছ জানান, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে আমাদের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদিউজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।