আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে অভিষেক হতে চলেছে ড্যানিয়েল ম্যাকগাহের। নজির সৃষ্টি করে ইতোমধ্যেই কানাডার নারী দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। প্রথম ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ রয়েছে এই কানাডিয়ানের সামনে।
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের নারী টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই। সেখানেই খেলার জন্য কানাডার স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ম্যাকগাহ। কানাডার হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে খেলার সুযোগ পেলে সেখানেই সৃষ্টি হবে এই নতুন ইতিহসের।২৯ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার একজন ওপেনার। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরুষ থেকে নারীতে রুপান্তরিত হন তিনি। অবশ্য নারী দলে খেলার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) শর্তপূরণ করতে হয়েছে তাকে। তারপরই কানাডার নারী দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে আইসিসির প্রকাশিত নিয়ম (২০২১ সালে যা সংশোধনও করা হয়েছে ) অনুযায়ী নারীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছুক দেশে ট্রান্স নারীদের অবশ্যই প্রমাণ করে দেখাতে হবে যে, তাদের সিরামে টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব অন্তত ১২ মাস ধরে ক্রমাগত ৫ এনএমওএল এর কম ছিল।
এক্ষেত্রে যতদিন তিনি খেলবেন ততদিন তাকে টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব এই স্তরের নীচেই রাখতে হবে। না হলে খেলার সুযোগ পাবেন না তিনি। আইসিসির নিয়মানুযায়ী ট্রান্সজেন্ডারদের নির্দিষ্ট মেডিকেল অফিসার থেকে লিখিত এবং স্বাক্ষরিত ছাড়পত্র নিতে হয়। যেখানে ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটার নিজেকে একজন নারী হিসেবে পরিচয় দেন। ম্যাকগাহের কাছে প্রতি মাসে রক্ত পরীক্ষা করাটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ ক্রিকেটারদের প্রায় সময়ই সফররত অবস্থায় থাকতে হয়। ম্যাকগাহ ২০২২ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তিনি ৩ ম্যাচে৪১.৩৩ গড়ে ১২৪ রান করেন। এরপরই তিনি নির্বাচকদের নজরে পড়েন।জাতীয় দলের ডাক পাওয়ার পরে ম্যাকগাহে বলেন, ‘আমি বেশ সম্মানিত বোধ করছি। আমার সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা অনেক বড় একটা বিষয় আমার কাছে। এমন একটা বিষয় যা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে আমি এটা করতে পারব। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নির্ণয় করার জন্য গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতি মাসে রক্ত পরীক্ষা করছি। কারণ আমাকে আমার প্রোফাইলও লিখতে হবে, কার বিরুদ্ধে খেলেছি এবং কত রান করেছি।
মন্তব্য