‘আমি পলিটিক্সের শিকার’

চলচ্চিত্রে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কাজ করছেন। ৪২ বছর বয়সেও বয়স যেন তার সৌন্দর্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অনেকেই বলে থাকেন পূর্নিমা বয়সের সঙ্গে আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠছেন। কিন্তু এর পেছনে রহস্য কী? জবাবটা পূর্ণিমা নিজেই দিলেন। তিনি বলেন, যারা ছোটবেলা থেকে আমাকে দেখছে, তাদের বলছি, আমি তখনো ছোট ছিলাম, এখনো ছোট আছি। এ কারণে রূপের রহস্যটা একই আছে। ভবিষ্যতেও ছোট থাকতে চাই। সম্প্রতি রাজধানীতে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনে হাজির হন পূর্ণিমা। সেখানেই নানা বিষয়ে কথা বলেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। পূর্ণিমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার মতে স্বাধীনতার পর থেকে দেশের সিনেমায় সুপারস্টার কারা? জবাবে পূর্ণিমা বলেন, সুপারস্টার বলতে গেলে নায়করাজ রাজ্জাক সাহেব, তারপর অবশ্যই জসিম ভাই; যার নাআর সুপারস্টার পরিচালক হিসেবে যার নামে ছবি চলতো, তিনি শহীদুল ইসলাম খোকন। এ ছাড়া রুবেল ভাইয়ের আলাদা ভক্ত শ্রেণি ছিল। যারা তার অ্যাকশন দেখতে হলে যেতো। আর সর্বশেষ সুপারস্টার বলতে গেলে মান্না ভাই। নায়িকাদের মধ্যে শাবানা, ববিতা, কবরী, মৌসুমী, শাবনূরদের সুপারস্টার পর্যায়ের মনে করেন পূর্ণিমা। তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, এখন তো চলচ্চিত্র অনেক কমে এসেছে। অনেক শিল্পী ঘরে বসে গেছেন। অনেকেই পলিটিক্সের কারণে সিনেমার কাজ পাচ্ছেন না। আমিও পলিটিক্সের শিকার! অনেক সিনেমা থেকেই আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই বাদ দেয়া হয়েছে। পলিটিক্স ছিল বলেই এসব হয়েছে। এখন তো এফডিসিও ছোট হয়ে আসছে। দর্শক চাহিদা থাকলেও বড় পর্দায় এখন কেন নিয়মিত নন পূর্ণিমা? এমন প্রশ্নে নায়িকার জবাব, বর্তমানে বড় পর্দায় যে সিনেমাগুলো হচ্ছে, সে অনুযায়ী আমি যেমন চরিত্রে অভিনয় করতে চাচ্ছি, সেরকম অফার আসছে না। সেজন্যই কাজের পরিমাণ কমে গেছে। পূর্ণিমাকে সর্বশেষ দেখা গেছে ‘হোটেল রিল্যাক্স’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে। কাজল আরেফিন অমির পরিচালনায় যেটা গত রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল। এদিকে পূর্ণিমা অভিনীত একটি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। ‘আহারে জীবন’ নামের ছবিটি পরিচালনা করেছেন ছটকু আহমেদ। নায়িকা জানান, এটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া সেরে শিগগির মুক্তি পাবে।