সিলেট বিএনপি’র কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আরিফুল হক চৌধুরী

সিলেট বিএনপি’র কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আরিফুল হক চৌধুরী। ক্ষোভ ঝেড়েছেন সিনিয়র নেতাদের উপর। তবে; তার এই ক্ষোভ প্রশমিত করতে সিলেট বিএনপি’র নেতারা নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সঙ্গে সিলেট বিএনপি’র কর্তৃত্ব নিয়ে মানসিক লড়াই চলছে সাবেক মেয়র ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। চলমান আন্দোলনে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সিলেটের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তবে আরিফুল হক চৌধুরী মাঝে মধ্যে কর্মসূচি পালনে সক্রিয় হয়ে উঠেন। হরতাল অবরোধ চলাকালে কয়েক দিন তিনি ঝটিকা মিছিল দিয়েছেন। মানবাধিকার দিবসে কর্মসূচি পালনে রোববার সিলেট বিএনপি’র কর্মসূচিতে সিনিয়র নেতা হিসেবে অংশ নেন আরিফুল হক চৌধুরী। এ কর্মসূচিতে ৪২ দিন পর এসে শরীক হন জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী। প্রথমে সুরমা মার্কেট পয়েন্ট এবং পরে কোর্টে ভেতরে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও সভা করেন। দুটোতে আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। কিন্তু বিকেলে বিএনপি’র পক্ষ থেকে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে; সেখানে উপস্থিতির তালিকায় প্রথম নাম দেওয়া হয়েছে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের। এরপর দেওয়া হয় আরিফুল হক চৌধুরীর নাম।সন্ধ্যায় জেলা বিএনপি’র এই নাটকীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানার পর ক্ষুব্ধ হন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। খন্দকার মুক্তাদির কোথায় ছিলেন?- এ প্রশ্নের উত্তর চেয়ে তিনি জেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের কাছে ফোনও করেন। কিন্তু এতে কেউ-ই তাকে সদুত্তর দিতে পারেননি।তবে জেলা বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন- খন্দকার মুক্তাদির ও কাইয়ূম চৌধুরী সিলেটের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এক সঙ্গেই এসেছিলেন। পুলিশি ব্যারিকেড থাকায় খন্দকার মুক্তাদির আদালতের ভেতরের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি। যেহেতু তিনি এসেছিলেন; এ কারনে উপস্থিতির তালিকায় তার নাম দেওয়া হয়েছে। এটা দোষের কিছু না।