আওয়ামী লীগের ইশতেহারে শুধু বড় বড় কথা আছে: বিএনপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার প্রত্যাখান করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, জোরপূর্বক যারা ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করতে পারে নাই, তারা আবার ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের ইশতেহার দিয়েছে। এতে শুধু বড় বড় কথা আছে। আর এই নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপি এটা (ইশতেহার) প্রত্যাখান করেছে।বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির নেতারা এসব কথা বলেন। সকালে প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে নেতাকর্মীদের নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে এদেশে গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চলছে। নির্বাচনী খেলা চলছে। আমি আর ডামিরা মিলে নির্বাচন চলছে। এই নির্বাচনে জনগণের মত প্রকাশের কোন সুযোগ নাই। এখানে কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে না।কাজেই এই নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন হবে না। কারণ সরকারবিরোধী কোন পক্ষ এই নির্বাচনে নাই। সেকারণে এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার কোন সুযোগ নাই। সেজন্য দেশের মানুষ এই নির্বাচন বর্জন করবে।

'এই নির্বাচন একটা অবৈধ সরকার, দুর্নীতিবাজ, দেশের অর্থ সম্পদ লুটকারী এবং মানুষের অধিকার হরণকারী একটা সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধির অপচেষ্টা মাত্র। আপনারা তাদেরকে না বলুন। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই নির্বাচনী খেলা ব্যর্থ করে দিন।'

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে বড় বড় কথা আছে। কিন্তু গতকালই বাংলাদেশের এই ঢাকা মহানগর ছিলো বায়ুদূষণের সারা দুনিয়াতে শীর্ষে। তারা (আওয়ামী লীগ) বলেন, দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। কি উন্নয়ন হলো তাহলে হলে? আপনারা এই ঢাকা শহরকে বায়ুদূষণে শীর্ষ করেছেন!সরকার পতনের লড়াইয়ে আমরা বিজয়ী হবো এবং দেশের জনগণ বিজয় হবে বলেও মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম।

এসময় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে সকালে নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক। লিফলেট বিতরণের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আগামী ৭ই জানুয়ারি অবৈধ নির্বাচন। এই ইশতেহার আমরা প্রত্যাখান করি। কারণ জোরপূর্বক যারা ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করতে পারে নাই, তারা আবার ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের ইশতেহার দিয়েছে। কিন্তু সেই নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবে না। বিএনপি এটা প্রত্যাখান করেছে।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, আমাদের এই চলমান আন্দোলনে সংকট সমাধানের জন্য জনগণ আমরা সম্পৃক্ত করেছি। আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও প্রশাসনকে দিয়ে বিএনপিকে আজ সরকার ধ্বংস করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার পতনের আন্দোলনে ছিলাম। এখন যদি কোন অঘটন ঘটে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।