মোস্তাফিজ নয়, ম্যাচসেরা হতেন মাশরাফি!

স্পোর্টস ডেস্ক:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের প্রথম স্পেলে ৬ ওভারে ৩২ রান দেন মাশরাফি। এর মধ্যে ফিরিয়ে দেন শুরুতে হাত খুলে খেলতে থাকা গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সুনিল আমব্রিসকে। সুযোগ ছিল ডোয়াইন ব্রাভোর উইকেট নেয়ারও। তবে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মাশরাফি দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে আসেন ইনিংসের ৪২তম ওভারে। উইকেটে তখন জমে গিয়েছিলেন শাই হোপ ও জেসন হোল্ডার। দুই ব্যাটসম্যান খেলছিলেন যথাক্রমে ৮৭ ও ৬২ রান নিয়ে। শতরানের জুটি গড়ে রীতিমতো বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিলেন তারা। এ স্পেলে এসেই হোপকে আশাহত করেন ম্যাশ। তার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বল লেন্থ ক্রস করে বের হয়ে যাচ্ছিল। তাতে খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড হন ক্যারিবীয় ওপেনার। পরের ওভারে এসে ফের আঘাত হানেন মাশরাফি। এবার পথ থেকে সরান উইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডারকে। তাকেও কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তারা থাকলে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের স্কোরটা ২৮০ প্লাস হতে পারত। আর হলে বিপাকে পড়তে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু তা হয়নি। নেপথ্য কারিগর অবশ্যই মাশরাফি। দ্বিতীয় স্পেলে ৮ রানের ব্যবধানে দুই থিতু ব্যাটার হোপ-হোল্ডারকে ফিরিয়ে উইন্ডিজের আশা ধূলিসাৎ করে দেন তিনি। বাকি কাজটুকু করেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিয়মিত উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের মাত্র ২৪৭ রানে বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়কের শিকার গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট আর মোস্তাফিজের সব মিলিয়ে ৪। তবে ফিজের উইকেটগুলো ইংনিংসের জাংশনে ছিল না। টার্নিং পয়েন্টে ম্যাচের মোড় ঘোরানো মাশরাফির বোলিং ছাপিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মোস্তাফিজ। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ নেই লাল-সবুজ জার্সিধারীর দলপতির। বরাবরের মতো, ম্যাচশেষে দলের পরিচ্ছন্ন বোলিং পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব নিজে না নিয়ে সতীর্থদের বাহবা দিয়েছেন তিনি। সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাঁচ উইকেটে হারানোর পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মাশরাফি বলেন, আমরা ভালো বল করেছি। শুরুটা ভালো হয়নি আমাদের। তবে আমরা ব্রেক থ্রু পেয়েছি ভাগ্যক্রমে। মাঝের ওভারে মোস্তাফিজ খুব ভালো বল করেছে। সাকিব ও মিরাজ ভালো বল করেছে। পরপর দুই ম্যাচে উইন্ডিজকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এ জয়ে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটি আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ দলনায়ক আইরিশদের হালকাভাবে নিতে নারাজ। জয়ের ধারা বজায় রেখে ফাইনালে যেতে চান তিনি। মাশরাফি বলেন, হ্যাঁ, এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ছেলেরা এখন রিলাক্স। তবে এখনও দুই ম্যাচ বাকি। পরের ম্যাচে ভালো খেলতে চাই এবং দেখি, ফাইনালে কি হয়।