অপরাজিত থেকেই ফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : উইকেট যতোই ব্যাটিং বান্ধব হোক না কেন, ২৯২ রান মোটেও কম কোনো স্কোর নয়। কিন্তু সেই রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা এতই অনবদ্য হলো যে সেখানে যেকোনো রানই তখন কম! যে কোনো টার্গেটই ছোট! আয়ারল্যান্ডের ২৯২ রান বাংলাদেশে অনায়াস কায়দায় টপকে গেলো তা দেখে এই ম্যাচের রিপোর্ট কার্ডে কোচ স্টিভ রোডস শব্দটা লিখে ফেলতেই পারেন-আয়েশি জয়! ৬ উইকেটে ম্যাচ জয়। তাও আবার হাতে ৪২ বল বাকি রেখে! নাহ্ এই ম্যাচে মোটেও প্রতিযোগিতার কোনো আমেজই যে মিললো না। একতরফা এবং একরোখা ভঙ্গিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং পুরো ম্যাচে শাসন করলো। পাওাই পেলো না আয়ারল্যান্ডের বোলিং। এই ম্যাচে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডের দিকে চোখ বুলালেই কোচ শান্তির পরশ খুঁজে পাবেন। দলের প্রথম তিনজনেরই হাফসেঞ্চুরি। ওপেনিং জুটিতে যোগ হলো ১১৭ রান। তাও আবার মাত্র ১৬.৪ ওভারে। তামিম করলেন ৫৩ বলে ৫৭। প্রথম সুযোগ পেয়ে লিটন দাসের ব্যাট হাসলো ৬৭ বলে ৭৬ রানের বড়ো ইনিংসে। সাকিব আল হাসান টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পেলেন। ৫১ বলে হার না মানা ৫০ রান। মুশফিকও যথারীতি ব্যাট হাতে ধারাবাহিক। করলেন ৩৩ বলে ৩৫ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরেকবার পারফেক্ট ফিনিসার। ২৯ বলে অপরাজিত ৩৫ রান এলো তার ব্যাটে। শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা এতো ভালো ব্যাট করছেন যে দলের বাকিদের ব্যাটিং নিয়ে কোনো চিন্তাই করতে হচ্ছে না। টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে এমন ধারাবাহিকতাই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বোলিংও খুব একটা মন্দ হচ্ছে না। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে চার বদল নিয়ে নামা বাংলাদেশ বেশকিছু পরীক্ষা নিরীক্ষাও সেরে নিয়েছে। তৃতীয় ওপেনার হিসেবে লিটন দাস আস্থায় রেখেছেন দলকে। নতুন বোলার আবু জায়েদ রাহী তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই চমকপ্রদ পারফরমেন্স দেখিয়েছেন। ৯ ওভারে ৫৫ রানে তার শিকার ৫ উইকেট। ২০১৫ সালের জুন মাসের পর এই প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলার পাঁচ উইকেট পেলেন। হলেন ম্যাচসেরা। এই চমৎকার পারফরমেন্স দিয়ে আবু জায়েদ রাহী তার বিশ্বকাপ যাত্রা আরেকবার নিশ্চিত করলেন! তবে বোলার হিসেবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচকে সাকিব দ্রæতই ভুলে যেতে চাইবেন। ৯ ওভারে কোন উইকেট ছাড়াই এই ম্যাচে সাকিবের খরচ ৬৫ রান। ওয়ানডেতে এরচেয়ে বেশি রান তিনি আগেও খরচ করেছেন। তবে এই ম্যাচের এক ওভারে তার ২৩ রানের খরচটা নতুন কোনো ঘটনা। ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এই প্রথম এক ওভারে এতো বেশি রান খরচ করলেন সাকিব। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৫০ রান করে সাকিব অবশ্য বোলিংয়ের সেই দুঃখ কিছুটা হলেও ভুলেছেন নিশ্চয়ই!