সুনামগঞ্জে খাদ্য গুদামের ধান দিতে গিয়ে হয়রানীর শিকার কৃষকরা

সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক:সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ খাদ্য গুদামের ধান দিতে নানান সমস্যা সম্মুখিন হচ্ছেন কৃষকেরা। কার্ডের সিরিয়াল ও ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে ধান দিতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, গুদামের সিলিয়ার পেতে দিনের পর দিন হেটে সিলিয়ার পেয়েও ব্যাংক একাউন্ড না থাকায় ধান দিতে পারছেন না কৃষকেরা। এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকের কাছ থেকে গোপন চুক্তির মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে কৃষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে সাধারন কৃষকদের কৃষি কার্ড ধান সিন্ডিকেট সদস্যরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কৃষকদের নামে ধান গুদামে দিচ্ছে বলে জানা যায়। এতে করে বড় ধরনের লাভবান হচ্ছে ধান সিন্ডিকেট সদস্যরা। ফলে সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। সরকার কৃষকদের ১০টাকার একাউন্ড সুবিধা দিলেও গুদামে ধান বিক্রয় করলে ১০টাকা ব্যাংক একাউন্ডে কাজ হচ্ছেনা। এক হাজার টাকা দিয়ে একাউন্ড আপডেট করতে হচ্ছে। অনেক সময় ব্যস্থতা দেখিয়ে সময় নষ্ট করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। দিনের পর দিন কৃষকেরা তাদের কাজ রেখে গুদামে ও ব্যাংকে আসা যাওয়া করছেন। কৃষকেরা জানান, কার্ডের লিষ্ট করে গুদামে ধান দেওয়ার সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সিলিয়ার জটিলতার জন্য সময় নষ্ট হচ্ছে তাদের, বর্তমান সময়ে আমন ধানের চারা রোপন না করে গুদামে হেটে সময় নষ্ট হচ্ছে করছেন তারা। বিশেষ করে জনতা ব্যাংকে একাউন্ড করতে গেলে দিনের পর সময় দিয়েও সময় মত একাউন্ড করা যাচ্ছেনা বলে জানান কৃষকেরা। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়ন খাদ্য গুদামের দায়িত্বেথাকা উপখাদ্য পরিদর্শক ছুরত আলী বলেন, আমরা কৃষকদের কার্ড দিয়ে কৃষকের ধান নেই। ধান নিতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কোন সিন্ডিকেটের ধান আমি ঢুকাইনা। দশ মন করে ধান নেওয়ার জন্য সিলিয়াল জটিলতা দেখা দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ব্যাংক একাউন্ড করতে কৃষকদের সমস্যা হচ্ছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে রানীগঞ্জ জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার কালিপদ দাশ বলেন, ১০ টাকার একাউন্ড ছিল খয়রাতি একাউন্ড। একাউন্ডে চেকের মাধ্যমে ঠাকা লেনদেন করতে হলে পাঁচশত অথবা এক হাজার রাখতে হবে। আমরা সকল কাজ বাদ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। হয়রানীর বিষয়টি সঠিক নয়।