দুঃখ দুদর্শায় পিছু ছাড়ছেনা জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কে চলাচলকারি যানবাহনের

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-বিশ্বানাথ সড়কের জগন্নাথপুর পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন ছিক্কা এলাকায় এলজিইডির সড়কের বিশাল গর্তে দিনের পর দিন ট্রাকের চাঁকা গর্তে ধেবে যায়। এনিয়ে এক মাসে ৪ থেকে ৫ বার একই স্থানে বিশাল গর্তে মাল বোঝাই ট্রাক আটক পড়ে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাথে বিশ^নাথ হয়ে বিভাগীয় শহরের যাওয়া একমাত্র রাস্তা অল্প বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে যানবাহন আটকে যাচ্ছে। ফলে ওই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারনদের। এ সড়ক দিয়ে বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কে বেহালদশা বিরাজ করায় চরম জনভোগান্তি বেড়েছে। সড়কজুড়ে ভাঙাচোরা, খানাখন্দ আর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে একাকার হয়ে যায়। গত জুন মাস থেকে চলতি মাস সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই সড়কের গর্তে পড়ে ভারী যানবাহন আটকে পড়ে। এজন্যে কোন কোন দিন ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। মিনিবাসসহ বড় আকারের যানবাহন চলাচল ৭ থেকে ৮ ঘন্টা বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষোভের সাথে চালাচলকারী ড্রাইভাররা জানান, বর্তমানে সড়কে যানবাহন চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সড়কে বিরাজমান অসংখ্যা গর্তে যানবাহন পড়ে আটকে যায়। নষ্ট হচ্ছে গাড়ীর যন্ত্রাংশ। সংস্কারের জন্য একাধিকবার সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারপরও কোন কাজ হচ্ছে না। স্থানীয়রা জানান, সিলেট বিভাগীয় শহরের সঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র প্রধান অবলম্বন হচ্ছে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক।এ সড়ক দিয়ে বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কে বেহালদশা বিরাজ করায় চরম জনভোগান্তি বেড়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি কর্তৃক পূন:সংস্কার কাজের ৩মাসের মধ্যে আবারো জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের উপজেলা সদরের হাসপাতাল এলাকায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার জানান, সড়কটির হাসপাতাল এলাকায় মালবাহি ট্রাক ধেবে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি। সড়কটির ওই স্থানে গর্ত হওয়া অংশে সংস্কার কাজের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।