কমলগঞ্জে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রকে পেটানোর অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এক কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতাসহ চার জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আদমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন আদমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদে ছিলেন। তাকে ওই পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে নির্যাতিত মাসুক পারভেজ ইমন মধ্যভাগ গ্রামের কবির আহমদের ছেলে। সে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে ওই ছাত্র কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বাকি অভিযুক্তরা হলো- আনোয়ার হোসেনের ভাতিজা রুবেল আহমেদ, শ্যালক জবলু মিয়া ও মুন্না মিয়া।

কলেজছাত্রের অভিযোগ অভিযোগ- তার মামা সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার রাতে তার মামার বাড়িতে যাওয়ার পথে উত্তরভাগ এলাকার রাস্তা থেকে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাতিজা রুবেল আহমেদ, শালা জবলু ও মুন্না তাকে ধরে নিয়ে আটকিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে তার মাকে খবর দিয়ে তার কাছে তুলে দেয়। পরে তাকে পরিবার সদস্যরা কমলগঞ্জ থানার পুলিশকে অবহিত করে রাতেই কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত কলেজ ছাত্রের মামা প্রবাসী মোস্তাকার হোসেন বলেন, ভাগ্নে মাসুক পারভেজ ইমনের জখম গুরুতর। তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। তার প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।

অভিযোগ সম্পর্কে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কলেজছাত্র মাসুক পারভেজ তাদের বাড়ির কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রায়ই ইভটিজিং করে। এ নিয়ে এর আগেও ছেলের বাবার কাছে বিচার দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে সে আমাদের বাড়ির সামনে এসে বাইর থেকে ওই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করছিল। তখন তাকে ধরে নিয়ে তার মাকে ডেকে এনে তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে হয়তো তার বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করেছেন।

ইমনের মা বলেন, আমার ছেলেকে খুব নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে আনোয়ারসহ তার সঙ্গীরা। ছেলের ওপর অত্যাচারের বিচার চাই।

কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান ঘটনা জেনেছেন উল্লেখ্য করে বলেন, এখনো থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।