নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পূর্ব শক্রতার জেরে পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে বৃদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভাণ্ডারীকে নির্যাতনের অভিযোগে প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন শানাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া আবুল হোসেন শানাজ (৪৫) উপজেলার চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত আজাহার আহমেদের ছেলে এবং চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি।

রোববার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার থানারহাট বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতের ঘটনায় ভুক্তভোগী বৃদ্ধের ছেলে ইউপি সদস্য মো. রিপন বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। একই সঙ্গে এ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, পূর্ব শক্রতার জের ধরে শনিবার ২ জুলাই রাত আনুমানিক ১২টার দিকে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঞার সরাসরি ইন্ধনে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা উপজেলার থানার হাটসংলগ্ন আমানতগঞ্জ এলাকায় এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় থানার হাটবাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভাণ্ডারী। যাত্রাপথে থানার হাট সোনাপুর সড়কের মহিলা মাদ্রাসাসংলগ্ন মাইকওয়ালার বাড়ির সামনের সড়কে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শানাজের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধ শেখ নাছির উদ্দিনের পথ রোধ করেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার মুখ বেঁধে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তার পায়ুপথে একটি টর্চলাইট ঢুকিয়ে দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে তার জ্ঞান ফিরে এলে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং রোববার ভোরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানান, রোববার সকালে প্রায় দেড় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চালিয়ে টর্চলাইটটি বের করা হয়। বর্তমানে রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।