সুনামগঞ্জে শালিসে ইউপি সদস্যকে মারধর, যুবক আটক

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে রবিন্দ্র দাস নামের এক ইউপি সদস্যকে শালিস বৈঠকে মারধর করেছে বিরাজ দাস (৩০) নামের এক যুবক। সে সাচনা গ্রামের বিনয় দাসের পুত্র।

শুক্রবারে রাতে সাচনা গ্রামের শ্বশানে শালিসে বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বিরাজ দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আহত ইউপি সদস্য রবিন্দ্র দাস (৪৫) জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, বিজয়া দশমিতে শারদীয় দূর্গাপূজার মূর্তি বিসর্জনকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি এক পর্যায়ে বিজয় দাসের দোকানে হামলা করেন ইউপি সদস্যর ভাতিজাসহ কয়েকজন। তার প্রেক্ষিতে

শুক্রবার রাতে স্থানীয় শ্বশানে ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে শালিস বৈঠকে বসলে শালিসে ইউপি সদস্যের বাতিজার উপর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে বিরাজ দাসের ভাতিজা অসন্তুষ্ট হয়ে বিচার শালিসে উপস্থিত সকলের সামনে ইউপি সদস্য রবিন্দ্র দাসকে মারধর করেন বিনয় দাসের ছেলে বিরাজ দাস। এ সময় উপস্থিত সকলের হস্তক্ষেপে বিরাজ দাসকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

ইউপি সদস্য রবিদ্র দাস বলেন, দূর্গাপূজার শেষদিন আমার ভাতিজাদের সাথে একটি সামান্য ঘটনা ঘটে তা আজ নিস্পত্তির জন্য শালিসে বসলে তা রায় শেষে উপস্থিত সকলের সামনে বিরাজ দাস নামের একটি ছেলে আমার উপর হাত তোলে।

শালিস বৈঠকে উপস্থিত জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফ জানান, শালিসে দুই পক্ষের মধ্যে আপোষ মিমাংসা শেষে ইউপি সদস্য রবিন্দ্রর দাসের উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের বিরাজ নামের একটি ছেলে। বিষয়টি খুবই ন্যক্কারজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেন।

জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মো. আব্দুন নাসের জানান-শালিসে ইউপি সদস্য রবিন্দ্র দাসকে মারধরের খবর পেয়ে আমি পুলিশ পাঠিয়ে হামলাকারী বিরাজ দাসকে থানায় নিয়ে আসি।  অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।