সুনামগঞ্জে চিনি ছিনতাই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আটক

সুনামগঞ্জে চিনির বস্তা ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মেহেদী হাসান সাকিবকে।

বৃহস্পতিবার (৬জুলাই) রাত ১০টার দিকে তাকে আটক করে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।

ছাত্রলীগ নেতা সাকিব আরপিননগরের মোসাদ্দেক হোসেন ওরফে মছুর ছেলে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুনামগঞ্জ সদর থানার এস আই হাবিবুর রহমান।

এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন বিশ্বম্ভপুর উপজেলার চেংবিল এলাকার মৃত মো.আকবর আলীর ছেলে ও মুদির দোকানি মানিক মিয়া।

জানা যায়, গত ৪জুলাই সুনামগঞ্জ সদরের মল্লিকপুর বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় আটটি ৫০কেজি ওজনের চিনির বস্তা ছিনতাই হয়।

সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চিনি বিক্রির জন্য বিশ্বম্ভপুরের মথুরকান্দি বাজার থেকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

মুদির দোকানি মানিককে ও অটোরিকশা চালককে কামরুলকে মারধর করে অটোরিকশাতে চিনির বাস্তা নিয়ে পালিয়ে যায় সাকিব। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায় ,গত ৪জুলাই বিশ্বম্ভপুরের মথুরকান্দি বাজার থেকে সুনামগঞ্জে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৫০কেজির

ওজনের আটটি চিনির বস্তা নিয়ে আটোরিকশা (সিএনজি)যোগে যান বিশ্বম্ভপুরের চেংবিল এলাকার মৃত মো.আকবর আলী ছেলে ও মুদির দোকানি মানিক মিয়া।

যাত্রাপথে দুপুর ১২টা ১০ এর দিকে সুনামগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত মল্লিকপুরস্থ বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় কিচ্ছুক্ষণ রেস্টুরেন্টের সামনে চিনি বহনকারী অটোরিকশাকে থামানোর সিগন্যাল দেয় অজ্ঞাতানামা দুই দুর্বৃত্ত। অটোরিকশা থামালে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা সিএনজি চালক মো.কামরুল ইসলামের গলায় টিপ চাকু ধরে এবং তার কথামতো গাড়ি চালাতে বলে।তখন অজ্ঞাতনামা আসামীর কথামতে সিএনজি নিয়ে হাজীপাড়ায় একটি চায়ের দোকানের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসময় দোকানের ভেতরে নিয়ে কামরুলের পিটে চাকু দিয়ে আঘাত করে এবং মানিককে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে চুপ থাকার জন্য বলে অজ্ঞাত আসামিরা।

মামলায় আরও বলা হয়,অজ্ঞাত আসামিরা ১টি সিএনজি হাজীপাড়া চায়ের দোকানের সামনে নিয়ে আসে।পরে বাদীর ওই সিএনজি থেকে ৮টি চিনির বস্তা নামিয়ে অপর সিএনজি দিয়ে মরাটিলা রোডের দিকে চলে যায়।বিষয়টি চায়ের দোকানদারসহ স্থানীয় লোকজনদেরকে অবগত করেন ভুক্তভোগীরা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো.হাবিবুর বলেন,মেহেদী হাসান সাকিব নামে একজনকে গতকাল আমরা তাকে আটক করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাকিব জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় রাতে তাকে আটক করা হয়।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন সাকিব গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আর্দশগত ভাবে কেউ বিচ্যুত হলে আমি ও আমার দলের সভাপতি তাকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে লিখিত আবেদন দেবো।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপংকর কান্তি দে'র মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।