প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী সুনামগঞ্জে

বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন কারিশমা। গোহাটি হয়ে কলকাতা যান। পরে কলকাতা থেকে বেনাপোল সীমান্তে আসতে দুই দিন সময়ে লেগেছে তার। ঝুঁকি নিয়ে একা একাই এতদূর চলে আসেন এই তরুণী।

এদিকে ঝুঁকি নিয়ে দেশ, পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মায়া ত্যাগ করে প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় এই তরুণীকে নিজের সন্তানের মতো করে গ্রহণ করেছেন আশরাফুলের পরিবার। ভারতীয় তরুণীকে জীবনসঙ্গি হিসেবে পেয়ে আশরাফুল আলমও বেশ খুশি। আজীবন এক সঙ্গে থাকতে স্ত্রী কারিশমা শেখ’কে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ এই তরুণের।

ভারতীয় তরুণী কারিশমা শেখ বলেন,‘ তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের পরিচয় হয়। তারপর আমাদের দুজনের ঘনিষ্টতা বেড়ে যায়। প্রথমে আমার পরিবার বিষয়টি না মানলেও আশরাফুলের পরিবারের আশ্বাসে মেনে নেয়। বাবার সহযোগিতায় তিন মাসের ভিসা নিয়ে আমি বাংলাদেশে এসেছি। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয়েছে। বাংলাদেশে আসার পর আশরাফুলের পরিবার আমাকে মেনে নিয়েছেন এবং ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমি স্বামীর সাথে বাংলাদেশে থাকতে চাই। আমি বাংলাদেশের সরকারের কাছে নাগরিকত্ব দাবি করছি।’

আশরাফুল আলমের বাবা আলফাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমারও তিন মেয়ে ছিল, তাদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। যেহেতু মেয়েটি তার দেশসহ সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে এক দেশ থেকে আরেক দেশে এসেছে তাই মেয়েটিকে আমরা মেয়ে হিসেবে মেনে নিয়েছি। আমরা চাই তারা সংসার জীবনে সুখি হোক। আমার ছেলে বউয়ের নাগরিকত্বের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করব।’

দীগেন্দ্র বর্মণ সরকারি ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি ভারতের এক তরুণী আমাদের কলেজের ডিগ্রি পড়–য়া এক ছাত্রের বাড়িতে চলে এসেছে এবং তিন দিন আগে তারা নাকি বিয়েও করেছে।’

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার দুপুরে থানার এক অফিসার আমাকে জানিয়েছে ভারতের এক তরুণী নাকি চরগাঁও গ্রামে এসেছে এবং ওই গ্রামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। ওই তরুণী বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছে কি না এই বিষয়টির খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।’