মাহমুদুল্লাহর সেঞ্চুরি সত্ত্বেও দেড়শ’ রানে হার

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৯ রানে হারলো বাংলাদেশ। আসরে এটি বাংলাদেশের টানা চতুর্থ হার। একবারে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল সাকিবের দল। 

বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকালেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে নিজের উইকেট দেয়ার আগে ১১১ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। খেলেন ১১০ বল। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুটি সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া তার শতকটি ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশেরও প্রথম।আগেই দুটি ফিফটি পেতে পারতেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু চল্লিশের ঘরে গিয়ে থেমে যাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে অর্ধশতকের দেখা পেলেন তিনি সেই ম্যাচে যেখানে দলের বাকিরা শুধুই এলেন-গেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ৬৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন মাহমুদুল্লাহ।মুশফিকুর রহীম, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদও ব্যর্থ। এই তিন ব্যাটারের বিদায়ে ২৮.৩তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২২/৭-এ

ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তানজিদ, শান্তর পর এবার প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিন ব্যাটারই উইকেটরক্ষক হেইনরিখ ক্লাসেনের তালুবন্দি হয়েছেন। ক্রিজ ছাড়ার আগে ৪ বলে ১ রান করেন সাকিব। ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩১ রান। তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর মাঠে নেমে গোল্ডেন ডাক মারলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়ানসেনের ডেলিভারি খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা ক্লাসেনের তালুবন্দি হন তিনি। ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০ রান। সাবধানী শুরুর পর থিতু হতে পারলেন না তানজিদ হাসান তামিম। মার্কো ইয়ানসেনের করা সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তোলার আগে ১৭ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১২ রান করেন তিনি। ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী শুরু করেছে বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে ওপেনিং জুটিতে ৩০ রান তুলেছেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম।