ডেড বল নিয়ে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

সেই ‘ডেড বল’ নিয়ে যৌক্তিক ভিত্তি থাকলেও সেসময় প্রতিবাদ না করে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার এমন স্পোর্টসম্যানশিপের দারুণ প্রশংসা করেছেন ধারাভাষ্যকাররা।

খেলা শেষ হওয়ার পরও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ‘ডেড বল’র সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে গভীরে যেতে চান না।

খেলা শেষে ‘ডেড বল’ প্রসঙ্গে রিয়াদ জানান, নওয়াজ শেষ মুহূর্তে স্টান্স থেকে সরে গেছে। এই কারণেই আমি আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে, বলটি বৈধ বল ছিল কী না। আমি স্রেফ জিজ্ঞেস করছিলাম, এর বাইরে কিছু না।

তিনি আরও বলেন, মাঠে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা আম্পায়ারদের সম্মান করি।

সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে নিশ্চিত পরাজয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ।

শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে জয়ের সুযোগ তৈরি করেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান। ওভারের প্রথম তিন বলে দুই উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মাহমুদউল্লাহ। শেষ তিন বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ পাকিস্তানের ফেবারে নিয়ে যান ইফতেখার আহমেদ। পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি।

শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২ রান। নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ শেষ বলটি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। বল যখন প্রায় পিচ করছে, তখনও ব্যাটসম্যান স্টান্সেই। বল পিচ করার সঙ্গে সঙ্গেই নওয়াজ সরে যান। বল লাগে স্টাম্পে। আম্পায়ার ডেড বলের কল করেন।

নিয়ম অনুযায়ী সামনে দিয়ে কোনো পোকা বা পাখি গেলে, সাইটস্ক্রিনের সামনে বা ওপরে কেউ-কিছু নড়াচড়া করল বা মাঠেই কোনো অস্বস্তি, এরকম নানা কিছুর কারণে ব্যাটসম্যান স্টান্স থেকে সরে যেতে পারে। কিন্তু তখন এমন কিছু হয়নি।

বারবার রিপ্লে দেখে বুঝ যায়, নওয়াজ সরে গেছেন স্রেফ বল তার জোনে ছিল না বলেই। পরিস্থিতির বিবেচনায় স্টাম্পের পেছন থেকে দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলে বল করেন মাহমুদউল্লাহ। তার সেই কৌশলে বিভ্রান্ত হয়ে স্টান্স থেকে সরে দাঁড়ান নওয়াজ। নিশ্চিতভাবেই এটা অসততা।

এসব ক্ষেত্রে, সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের ওপর। তিনিই ঠিক করবেন, ব্যাটসম্যন প্রস্তুত ছিল কী না। আম্পায়ার মনে করেছেন, এটা ডেড বল। মাহমুদউল্লাহও মেনে নিয়েছেন। ম্যাচ শেষে বলেছেন, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

তবে আাম্পায়ার তানভীর আহমেদ যদি সেটি ডেড বল না দিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দিতেন তাহলে বাংলাদেশ ১ রানে জয় পেত। কিন্তু ডেড বল ডাকায় পরের বলে চার মেরে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।