তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা আনতে গিয়ে বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে করা চোরাই কয়লার গুহা থেকে কয়লা আনতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে নুরুল হক (২০) নামের এক বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা আরও ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। অপরদিকে রুবেল মিয়া(২০) নামের এক যুবককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।নিহত যুবক উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন লাকমা পশ্চিম পাড় খালেক মিয়ার ছেলে।তাৎক্ষনিক আহতদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। 

রোববার (১২ নভেম্বর ) সকাল ৯ টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা এলাকার ১১৯৭ পিলার সংলগ্ন ভারতীয় অংশে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী একঘন্টা চেষ্টার পর সকাল ১০ টায় ঘটনারস্থল ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থাকা চোরাই কয়লার গুহার ভেতর থেকে নিহত যুবক নুরুল হকের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। 

অন্যদিকে শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ট্যাকেরঘাট সীমান্তের ১২০০ নম্বর পিলার সংলগ্ন রজনী লাইন এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারতের শিবপুর এলাকায় গিয়ে চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে আসার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হয় উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রজনীলাইন গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে রুবেল মিয়া(২০)।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো আজ ভোর সকালে নিহত নুরুল হকসহ ৭/৮ জনের একটি কয়লা শ্রমিকের গ্রুপ চোরাই পথে বালিয়াঘাট সীমান্তের ১১৯৭ পিলার সংলগ্ন লাকমা এলাকায় ভারতীয় সীমান্তে থাকা চোরাই কয়লার গুহার (কয়লা কোয়ারী) ভিতর গিয়ে কয়লা আনতে যায়। পরে সকাল ৯ টায় গুহার ভেতর থেকে কয়ালর বস্তা নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় হঠাৎ গুহার মাটি ধসে নুরুল হকের উপর পরলে গুহার মাটি চাপায় ঘটনারস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় নুরুল হকের সাথে কথা আরও ২ জন কয়লা শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। 

পরে তার সাথে থাকা অন্য শ্রমিকরা দৌড়ে গুহার ভেতর থেকে বেড়িয়ে এসে নুরুল হকের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে নিহতের পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে প্রায় একঘন্টা চেষ্টা পর সকাল ১০ টায় গুহার ভেতর থেকে নিহত নুরুল হকের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ-২৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি বালিয়াঘাট সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্ব থাকা নাকে সুবেদার রায়হানের বক্তব্য জানতে সরকারি মুঠোফোন ০১৭৬৯৬১৩১২৭ নাম্বারে বারবার ফোন করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চোরাই পথে ভারতে গিয়ে কয়লা আনতে প্রায়ই এরকম দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আজকের পর এরকম আর কোন দুর্ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে আমাদের পুলিশের পক্ষে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে